দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় যুবলীগের বহিষ্কৃত দফতর সম্পাদক কাজী আনিসুর রহমান ও সুমি রহমানের সম্পদের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। দুদকের সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) যুবলীগের বহিষ্কৃত দফতর সম্পাদক কাজী আনিসুর রহমান ও তার স্ত্রী সুমি রহমানের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলা দুটির বাদী দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান।
মামলার এজাহারে বলা হয়, রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডের মাল্টিপ্ল্যান সেন্টারের লেভেল-১ এ কাজী আনিসুরের নামে একটি দোকান আছে। গোপালগঞ্জের মকসুদপুরের ৭৪ রসূলপুরে তার নামে ২৪ দশমিক ৫০ শতাংশ জমি আছে। রাজধানীর আরকে মিশন রোডের আমিন বিলাস ভবনের পাঁচ তলায় তার নামে রয়েছে ১৩শ’ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট ও কার পার্কিংয়ের জায়গা। ৫৪/১ স্বামীবাগ রোডে আছে ৮২০ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট। ধানমন্ডির ১০/এ সড়কে আছে (বাড়ি-২২, ফ্ল্যাট নম্বর-বি-১৩) একটি ফ্ল্যাট। শুক্রাবাদে (বাড়ি-৮/২, আরেফিন পার্ক) আছে সাত তলা একটি বাড়ি। বাড়ির প্রতিটি ফ্ল্যাট ৭৫০ বর্গফুটের। ধামমন্ডি ৪ নম্বর সড়কে (১৫/এ নম্বর বাড়ি, ফ্ল্যাট নম্বর ২) ১৪শ’ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট।
এছাড়া, মেসার্স আরেফিন এন্টারপ্রাইজ কোম্পানিতে ৮৫ লাখ ৫০ হাজার টাকার শেয়ারের মালিক তিনি। মা ফিলিং স্টেশনেরও মালিক তিনি। প্রাইজবন্ড আছে তিন লাখ টাকার। একটি প্রাইভেট কারও (ঢাকা মেট্রো গ-৩৩-১৫১৪) আছে তার। ব্যাংক এশিয়া, প্রাইম ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, ইসলামি ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামি ব্যাংক, ইউসিবিএল, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক ও ডাচ বাংলা ব্যাংকে কাজী আনিসুরের অ্যাকাউন্ট রয়েছে।
শুক্রাবাদে আনিসের স্ত্রী সুমি রহমানের নামে আছে ৩৪শ’ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট। ৫০ হাজার টাকার প্রাইজবন্ডও আছে তার। সুমি রহমানের কোনও বৈধ আয় নেই বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।